‘ধ্রুবতারা সন্মাননা’ কোনো পুরস্কার নয়। ‘ধ্রুবতারা সন্মাননা’ তার নামের মতোই- শুধুই সন্মান। শ্রদ্ধা আমাদের।
সকল মানুষেই জন্মায়। তারপর বেড়ে ওঠে। নিজেকে তৈরি করে। তারপর জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। লক্ষ্যটি থাকে আপন জীবনের চলবার পথটি মসৃণ করা। আমাদের চারপাশের মোটামুটি সকল মানুষই এমন মানুষ। কিন্তু এঁদের বাইরেও কিছু মানুষ থাকেন। এঁরা জীবন চলার পথটির মসৃণতা নিয়ে ভাবিত হন না। এঁদের ভাবনাটি জুড়ে থাকে আপন কাজের ক্ষেত্রটি। কেবল দায়িত্ববোধ নয়, কাজের প্রতি মমত্ববোধ নিয়ে কাজটি করেন তাঁরা। এবং এই আন্তরিকতার কারণেই সকলকে ছাড়িয়ে যান তাঁরা। হয়ে ওঠেন বিশেষ। সকলের কাছেই। তখন কাজ দিয়ে ভিন্নরকম এক মর্যাদা অর্জন করেন তিনি। শ্রদ্ধাজন হয়ে ওঠেন সকলের। এই মানুষদের আলাদা নামবিশেষণ আছে। কীর্তিমান তাঁরা।
কীর্তিমান কারা?
গৌরবময় যারা। বিশিষ্ট তিনি। আপন কর্মের খ্যাতিতে খ্যাতিমান হয়ে ওঠা জন।
সক্রেটিসের কাছে একবার জানতে চাওয়া হয়েছিল, দেশপ্রেম কি? জবাবে সক্রেটিস বলেছিলেন, ‘নিজের কাজ সর্বোত্তমভাবে করে যাওয়াই দেশপ্রেম’। মানুষ যদি নিজের দায়িত্বটি সুষ্ঠুভাবে পালন করেন, আপন কাজটি সঠিকভাবে করেন তবে সাফল্য তাঁর একলারই আসে না, আসে দেশেরও। সর্বোত্তম কাজ করে যিনি দেশের জন্যে, জাতির জন্যে সফলতা বয়ে আনলেন, তিনি তো আর লোকেদের মতো নন। সাধারণ নন তিনি। আপন কর্মের খ্যাতিতে খ্যাতিমান হয়ে ওঠা তিনি আমাদের গৌরব। অহংকার আমাদের। তাঁর আছে আমাদের ঋণ জমেছে। আমরা তাঁকে সন্মান আর শ্রদ্ধা জানিয়ে সে অপরিশোধিত ঋণের যৎসামান্য শোধ করতে চাই।….